নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের কয়েকটি জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে এই ক’দিন দিনের বেলা ঝলমলে রোদ থাকায় দিন ও রাতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান বেড়ে যাচ্ছে। এতে দিনের চেয়ে রাতে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
কুয়াশা না থাকায় আর মেঘমুক্ত আকাশে সকাল সকাল সূর্য উঠে দিনভর তাপ ছড়াচ্ছে। এতে স্বস্তিতে আছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তবে এমন স্বস্তি থাকবে না আর। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার শুরু হতে পারে খুলনা বিভাগ দিয়ে। এর ফলে তাপমাত্রাও কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া লঘুচাপটি বুধবার সকাল ৯টায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে, যার প্রভাবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের সাত বিভাগে বৃষ্টি ঝরতে পারে।
বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে ধরা হয় অতিভারী বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়ার ডিসেম্বরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে, এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গত সোমবার রাতে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়। এ নিয়ে চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ তৈরি হলো।
নভেম্বরেও বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম দেওয়া হয় ‘ফেইনজাল’। সেটি ভারতের তামিলনাডু উপকূলে আঘাত হানে। বাংলাদেশে এর তেমন প্রভাব পড়েনি।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখেছে কক্সবাজার। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়ে টানা ছয় দিন ধরে রাতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। প্রতিদিন দুপুরের পর হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।